বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার চাকরি ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছে স্যামসাং। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে কর্মীদের ছাঁটাই করছে এই কোম্পানি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই কর্মী ছাঁটাই তিন অঞ্চলের প্রায় ১০ শতাংশ কর্মচারীকে প্রভাবিত করতে পারে। যদিও প্রতিটি লোকেশনের জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা আলাদা হবে।
উল্লেখ্য, কোম্পানির দক্ষিণ কোরিয়ার বাইরে প্রায় ১৪৭,০০০ জন কর্মী রয়েছেন। তবে কোম্পানিটি কিন্তু ঘরোয়া বাজার দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনও কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে না। এর মানে হল, বিদেশে তারা কর্মীর সংখ্যা কমাবে ঠিকই, কিন্তু হোম মার্কেটের কর্মচারীদের পান থেকে চুন খসবে না।
সিঙ্গাপুরে, ইতিমধ্যেই কর্মীদের ছাঁটাই এবং চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের পর কর্মচারীদের প্রাপ্য প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য এইচআর এবং তাঁদের ডিরেক্টরদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এদিকে, স্যামসাংয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে কিছু বিদেশী শাখা তাদের কর্মদক্ষতা উন্নত করার জন্য নিয়মিত কাজ করছে। কোম্পানি নির্দিষ্ট চাকরির পদের জন্য এখনও কোনও টার্গেট সংখ্যা উল্লেখ করেনি। অর্থাৎ স্যামসাং কোন পদের জন্য কতজনকে রাখতে চায় তা এখনও অজানা।
উল্লেখ্য, এই বছর স্যামসাং কিছুটা অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম মেমরি চিপস এবং স্মার্টফোন কোম্পানির স্টক মূল্য ২০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। এই প্রথম নয় কোম্পানিটি এর আগেও ভারত এবং লাতিন আমেরিকার কিছু দেশে প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী সংখ্যা কমিয়েছে। আবার এই লেটেস্ট রাউন্ডে, স্যামসাং তার ১৪৭,০০০ সংখ্যক বিদেশী কর্মীদের মধ্যে ১০ শতাংশ হারে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: (Earning to increase: ২০৩১ সালের মধ্যে বার্ষিক ৩০ লক্ষ টাকার বেশি আয় করবে ১১.৩ কোটি পরিবার!)
কোম্পানি চায় ম্যানেজমেন্ট ও সাপোর্ট ফাংশন খাতে লোক কমিয়ে, ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বেশি ফোকাস করতে। তাই ম্যানুফ্যাকচারিং অর্থাৎ উৎপাদন খাতেই কর্মীসংখ্যা বজায় রাখতে চায় স্যামসাং।
প্রসঙ্গত, স্যামসাং এখন দক্ষিণ কোরিয়ায় তার কর্মীদের নিয়ে উত্তেজনার সম্মুখীন হচ্ছে। মে মাসে, দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিয়ন প্রথমবারের মতো ধর্মঘটে বসেছিল। ভারতেও, ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাই কারখানার কাছে বড় অংকের মজুরি বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে ১,০০০-এরও বেশি শ্রমিক বিক্ষোভ করেছিলেন।