জাতীয় দলে কখনই 🌜নির্দিষ্ট ব্যাটিং অর্ডার ছিল না লোকেশ রাহুলের। তিনি নিজে টপ🍸 অর্ডারে ব্যাট করতে পছন্দ করেন। তবে সেখানে ট্র্যাফিক জ্যাম। তাই কখনও মিডল অর্ডারে আবার কখনও প্রয়োজনে ওপেনেও ব্যাট করতে নামানো হয় রাহুলকে। বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিকবার। তবে লোকেশ চুপচাপ নিজের কাজ করে গিয়েছেন।
তবে শনিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে দিল্লিকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেওয়ার পরে লোকেশ নিজের ব্যাটিং অর্ডার এবং বদলে যাওয়া ব্যাটিং দর্শন নিয়ে মন খুলে কথা বলেন। বোঝা যায় যে, টিম ইন্ডিয়ায় তাঁকে বরাবর বঞ্চি💖ত হয়েই থেকে যেতে হয়।
যদিও নিজের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গির জন্য জাতীয় দলের এক কোচকে বিস্তর কৃতিত্ব দেন লোকেশ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জাতীয় দলের সেই কোচ বিসিসিআইয়ের হিটলিস্টে রয়েছেন। ইংল্যান্ড সফরের আগেই বোঝা কমাতে তাঁকে ছেঁটে ফেলতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। লোকেশের মুখে সংশ্লিষ্ট কোচের গুণকীর্তণ শুনে বিসিসিআই নিজেদের অবস্থান বদলা꧒য় কিনা সেটাই হবে দেখার।
চেন্নাইকে হারিয়ে উঠে ন﷽িজের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে লোকেশ রাহুল বলেন, ‘আইপিএলের আগে থেকেই আমি টপ অর্ডারে ব্যাট করার জন্য প্রস্তু হচ্ছিলাম। (দিল্লির) কোচের সঙ্গে আমার কথা হয়। উনি জানা✃ন যে, আমাকে চার নম্বরে ব্যাট করাতে চায়। আজ টপ অর্ডারে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে খুশি ছিলাম।’
নায়ারকে কৃতিত্ব লোকেশ রাহুলের
লোকেশ পরক্ষণেই সীমিত ওভারের ক্রিকেট সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গ👍ি বদল এবং তার পিছনে টিম ইন্ডিয়ার সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের ভূমিকার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এখন আমি সাদা বলের ক্রিকেট খেলার আনন্দটা ফিরে পেয়েছি, যেটা হারিয়ে বসেছিলাম। আগে খেলাটাকে আরও গভীরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতাম এবং সেটাই সারাক্ষণ আমার মাথায় থাকত। এখন বুঝতে পেরেছি যে, টি-২০ ক্রিকেটটা শুধু বাউন্ডারি মারার খেলা। আগ্রাসী হও এবং বোলারদের উপর চাপ বাড়াও। এই নিয়ে অভিষেক নায়ারের সঙ্গে♛ বিস্তর পরিশ্রম করেছি এবং নিজের খেলা ফের উপভোগ করছি আমি।’
নিদের দৃষ্টিভঙ্♛গি বদলের পিছনে নায়ারের ভূমিকা নিয়ে লোকেশ বলেন, ‘অভিষেক নায়ারকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। নিজের সাদা বলের ক্রিকেট নিয়ে নায়ারের সঙ্গে আমার ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হতো। ওর সঙ্গে বিস্তর পরিশ্রম করেছি। যখন থেকে ও ভারতীয় দলে এসেছে, নিজের সাদা বলের ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। মুম্বইয়ে ঘণ্টার পর꧟ ঘণ্টা আমকা একসঙ্গে খেটেছি।’
উল্লেౠখোযোগ্য বিষয় হল, নায়ারকে গম্ভীরের সাপোর্ট স্টাফের দল থেকে বিসিসিআই ছেঁটে ফেলতে চাইছে বলে খবর। এখন দেখার যে, লোকেশের এমন দরাজ সার্টিফিকেট নায়ারের চাকরি বাঁচায় কিনা।