বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > PSL 2024: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন সতীর্থই ব্যর্থ করলেন পোলার্ডের লড়াই, ঝড় তুলেও করাচিকে জেতাতে পারলেন না কায়রন
পরবর্তী খবর
PSL 2024: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন সতীর্থই ব্যর্থ করলেন পোলার্ডের লড়াই, ঝড় তুলেও করাচিকে জেতাতে পারলেন না কায়রন
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 29 Feb 2024, 08:11 AM ISTAbhisake Koley
Karachi Kings vs Islamabad United Pakistan Super League: চলতি পাকিস্তান সুপার লিগে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন কায়রন পোলার্ড। একটি হাফ-সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি ২টি ম্যাচে তিনি অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে যান।
পাকিস্তান সুপার লিগে ব্যর্থ হল পোলার্ডের লড়াই। ছবি- এপি।
একদা আইপিএলের আঙিনায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়েছেন কায়রন পোলার্ড ও কলিন মুনরো। তবে পাকিস্তান সুপার লিগে এখন দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ দলের সেনিনা তাঁরা। বুধবার চলতি পিএসএলের ১৫তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে করাচি কিংস ও ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। দাপুটে ইনিংস খেলে পোলার্ড করাচিকে লড়াই করার রসদ এনে দেন। তবে মুনরো ব্যর্থ করেন ক্যারিবিয়ান তারকার যাবতীয় প্রয়াস। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করে কিউয়ি তারকা জয় এনে দেন ইসলামাবাদকে।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জেতে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। তারা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় হোমটিমকে। করাচি কিংস প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন পোলার্ড। তিনি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৮ বলের আগ্রাসী ইনিংসে কায়রন ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
চলতি পাকিস্তান সুপার লিগে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন পোলার্ড। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের চারটি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ান তারকার ব্যক্তিগত সংগ্রহ যথাক্রমে অপরাজিত ২৮, অপরাজিত ৪৯, ৫৮ ও অপরাজিত ৪৮ রান।
এছাড়া ওপেন করতে নেমে ক্যাপ্টেন শান মাসুদ করেন ২৭ রান। ৩০ বলের ঠুকঠুকে ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন। মূলত ক্যাপ্টেনের এমন টেস্টসুলভ ইনিংসের জন্যই করাচির পক্ষে আরও বড় রানের ইনিংস গড়া সম্ভব হয়নি। অপর ওপেনার টিম সেফার্ত করেন ৯ বলে ৮ রান।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লিউস ডু'প্লুই ১৫ বলে ২৪ রান করেন। তিনি ৪টি চার মারেন। শোয়েব মালিক ৭ বলে ৬ রান করে রান-আউট হন। মহম্মদ নওয়াজ ১১ বল খেলে মাত্র ৬ রান করেন। ২২ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ইরফান খান। তিনি ৪টি চার মারেন। ইসলামাবাদের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ইমদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, আঘা সলমন ও হুনাইন শাহ। উইকেট পাননি শাদব খান।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ওপেন করতে নেমে কলিন মুনরো ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৮২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
৩৫ বলে ৪৭ রান করেন অ্যালেক্স হেলস। তিনি ৭টি চার মারেন। ১৭ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আঘা সলমন। তিনি ২টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি ইমদ ওয়াসিম। ১১ বলে ১০ রান করে নট-আউট থাকেন শাদব খান। করাচির হয়ে ১টি করে উইকেট নেন হাসান আলি, তাবরেজ শামসি ও মহম্মদ নওয়াজ। ম্যাচের সেরা হন মুনরো।