প্রবল চাপে চেন্নাই সুপার কিংস। জয়ের জন্য ৪৩ বলে চাই ১১৭ রান। রিকোয়ার্ড রানরেট ১৬-র উপরে। সেই অবস্থায় চেন্নাইয়ের ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পরেও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে মাঠে নামানো হল না। বরং আট নম্বরে পাঠানো হল রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। শেষপর্যন্ত নয় নম্বরে ধোনিকে পাঠানো হয়। আর যা নিয়ে তুমুল কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এমনকী কেউ-কেউ তো দাবি তুলেছেন যে দলের ঝোঝা হয়ে উঠেছেন ধোনি। এবার ধোনির নিজেকেই বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত। আর সেই রেশ ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য মিম ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা বলতে শুরু করেছেন, এবার সাপোর্ট স্টাফদেরও ধোনির আগে মাঠে নামানো হবে। কেউ আবার বলেছেন যে ধোনিকে যেন টেনেহিঁচড়ে মাঠে নামানো হচ্ছে।
‘ধোনিকে ব্যাটিং লাইন-আপে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে’, খোঁচা নেটিজেনদের
এক নেটিজেন বলেন, 'নিজেকেই দল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত ধোনির। তিনি দলের বোঝা হয়ে থাকতে পারেন না। অতীতে কী করেছেন, সেটার জন্য উনি এখনও খেলে যেতে পারেন না।' অপর একজন বলেন, 'উনি নিশ্চিতভাবে ফিট নন। আর তাঁর মধ্যে একটুও আত্মবিশ্বাস নেই যে দলকে (ব্যাট হাতে) জেতাতে পারবেন না। শুধু ধোনির ব্র্যান্ডটা ঠিক রাখার জন্য তাঁকে স্রেফ দলে রেখে দেওয়া হয়েছে। আর তাঁকে ব্যাটিং লাইন-আপে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: IPL 2025: ধোনির CSK-র বিরুদ্ধে নতুন ইতিহাস গড়লেন কোহলি! ভেঙে দিলেন ধাওয়ানের বিরাট রেকর্ড
ধোনিই সব সিদ্ধান্ত নেন, দাবি নেটপাড়ার
কেউ-কেউ আবার দাবি করেন, ধোনি তো চেন্নাইয়ের অধিনায়ক নন। আট নম্বরেও তাঁকে নামানোর সিদ্ধান্তটা টিম ম্যানেজমেন্টের। যে তালিকায় চেন্নাইয়ের অধিনায়ক এবং হেড কোচরা আছেন। যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি অনেকেই। তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘সবাই খুব ভালোভাবে জানেন যে ধোনি কোথায় ব্যাট করবেন, সেই বিষয়ে কে সিদ্ধান্ত নেন। নিশ্চিতভাবে দলের কোচ এবং অধিনায়ক সেই সিদ্ধান্ত নেন না।’
ধোনিকে স্বার্থপর বলে আক্রমণ একাংশের
নেটিজেনদের একাংশ তো ধোনিকে স্বার্থপর বলেও কটাক্ষ করেছেন। এক নেটিজেন বলেন, 'এত নীচে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিংয়ের কী দরকার? যখন শিবম দুবের উইকেটের পরে দলের তাঁকে দরকার ছিল, তখন (তিনি নামেননি কেন?) দল যখন হেরে গিয়েছে, তখন কয়েকটা ছক্কা মেরে কী লাভটা হবে?' উল্লেখ্য, নয় নম্বরে নেমে ১৬ বলে ৩০ রান করেন ধোনি। মারেন তিনটি চার এবং দুটি ছক্কা। কিন্তু সেগুলি কার্যত কোনও আসেনি। হারের ব্যবধানটা কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেন নেটিজেনরা।