আগামী সপ্তাহেই পাকিস্তানের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের সিরিজ। কিন্তু সেই সিরিজ শুরুর আগেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ শিবির। কারণ তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তান সফরের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বাংলাদেশের জোরে বোলার নাহিদ রানা। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাই এই নাম প্রত্যাহারের কারণ বলে জানা যাচ্ছে।
পাকিস্তান সুপার লিগের সময়ই ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা শুরু হয়। পহেলগাঁওতে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা এসে নীরিহ হিন্দুদের বেছে বেছে খুন করে। এর ২ সপ্তাহ পর পাল্টা পাকিস্তানের জঙ্গীদের সবক দিতে সেদেশের জঙ্গি ঘাঁটিগুলোয় টার্গেট করে ভারত, আর তাতেই পাকিস্তান কার্যত দিশেহারা হয়ে যায়।
পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার
সেই ঘটনার জেরেই জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছন বিসিবির ক্রিকেটার নাহিদ রানা। এর আগে পাকিস্তান সুপার লিগের সময় সেদেশের সব বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা দেশ ছাড়তে পারছিলেন না। এদিকে ভারতও পরপর পাকিস্তানকে আক্রমণ করছিল, যার জেরে কার্যত ভয়ে যবথবু অবস্থা হয় রানাদের। তিনি সেই সময় খেলছিলেন পেশাওয়ার জালমির হয়ে। অবশ্য পাকিস্তান সুপার লিগে পেশাওয়ারে রানার আরেক সতীর্থ রিশাদ হোসেন কিন্তু পাকিস্তান সফরে আসছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, অনেকেই প্রথমে পাকিস্তান যেতে চাইছিলেন না টি২০ সিরিজের জন্য। তবে পরে দলের বাকি সদস্যরা সেদেশে সফরে যাচ্ছে দেখে, বাংলাদেশের বাকি ক্রিকেটারদের অনেকে রাজি হন সেদেশে খেলতে যেতে।
নাহিদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ
তিনি বলছেন, ‘নাহিদ রানা বা রিশাল হোসেনদের পাকিস্তানে সম্প্রতি যে অভিজ্ঞতা হয়েছে , তারপরে তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না আতঙ্কিত হওয়ার জন্য। এই কারণেই রানা পাকিস্তান সফর থেকে নাম তুলে নিচ্ছে। কোচিং স্টাফদের মধ্যে জেমস প্যামেন্ট এবং নাথান কেইলিও পাকিস্তানে যাচ্ছেন না। প্রথমে অনেক ক্রিকেটারই যেতে চাইছিল না, কিন্তু পরে অন্যরা যাচ্ছে দেখে বাকিরা রাজি হয়। ’।
পাকিস্তানের নিরাপত্তায় খুশি বাংলাদেশ
পাকিস্তানের তরফে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়, তাতে খুশি ফাহিম। তিনি বলছেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় দেখেছি ক্রিকেটারদের জন্য কতটা নিরাপত্তা দেওয়া হয়। আমার মনে হয় না এর থেকে বেশি কোনও বোর্ড করতে পারে। আর পিসিবি চেয়ারম্যান আমাদের আশ্বাস দিয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ’। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলবে, যা শুরু আগামী ২৮ মে থেকে।