একজন ইতিমধ্যেই আইপিএলের মঞ্চে পরীক্ষিত এবং জাতীয় দলে ঢুকে নজরকাড়া পারফর্ম্যা♓ন্স উপহার দিয়💝েছেন। অন্যজন চলতি আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার বলা যায়। সোমবার একানা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সে নজর কাড়েন দু'জনেই। তবে শুধু ব্যাট-বলের লড়াইয়েই নয়, বরং ঝগড়াঝাটিতেও ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দেন অভিষেক শর্মা ও দিগ্বেশ রাঠি।
পরিস্থিতি෴ এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, সহ-খেলোয়াড় এবং আম্পায়াররা রীতিমতো কষ্ট করে দু'জনকে একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান। নাহলে দুই তরুণ ক্রিকেটার হাতা🧔হাতির পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিলেন বলা যায়।
চলতি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অভিষেক যেমন ব্যাটে ঝড় তুলছেন, ঠিক তেমনই বল হাতে ক্রমাগত উইকেট সংগ্রহ করছেন লখনউয়ের দিগ্বেশ। এলএসজির দিগ্বেশের উইকেট নেওয়ার পরে ༒নোটবুক সেলিব্রেশন নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। এই সেলিব্রেশনকে চেকবুক সেলিব্রেশনও বলা হচ্ছে।
দিগ্বেশের এই সেলিব্রেশন বিসিসিআইয়ের রক্তচক্ষুর মুখে পড়েছে ইতিমধ্যেই। তরুণ স্পিনারকে ইতিমধ্যে জরিমানা𒆙র মুখেও পড়তে হয়েছে। তার পরে অবশ্য সেলিব্রেশনের স্টাইল একটু বদলেছেন দিগ্বেশ, একেবারে ছেড়ে দেননি। সোমবার লখনউ স্পিনারের এই সেলিব্রেশনই পছন্দ হয়নি সানরাইজার্স ব্যাটার অভিষেক শর্মার।
কোন ঘটনা থেকে ঝগড়ার উৎপত্তি
সোমবার একানায় অভিষেককে আউট করেন দিগ্বেশ। আউট করার পরেই সানরাইজার্স ওপেনারকে উদ্দেশ্য করে অঙ্গভঙ্গি করেন লখ♌নউয়ের স্পিনার। অভিষেককে ইশারায় সাজঘরে ফিরতে বলেন দিগ্বেশ। তার পরে তিনি নিজের পরিচিত চেকবুক সেলিব্রেশন সারেন।
বিষয়টি মোটেও পছন্দ হয়ন🍎ি অভিষেকের। তিনি রেগে গিয়ে এগিয়ে যান বোলারের দিকে। দিগ্বেশও পালটা দিতে পিছপা হননি। দুই ক্রিকেটার প্রবল কথা কাটাকাটﷺিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, বিসিসিআই দুই ক্রিকেটারকে শাস্তি দিলে অবাক হওয়ার কোনও কারণ থাকবে না।
দ্বিতীয় ইনিংসের ৭.৩ ওভারে দিগ্বেশের বলে শার্দুল ঠাকুরের হাতে ধরা পড়ার আগে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন অভিষেক শর্মা। তিনি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকান। ▨সপ্তম ওভারে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে পরপর চারটি ছক্কাও হাঁকান তিনি। শেষমেশ ৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ২০ বলে ৫৯ রান করে ক্রিজ ছাড়েন অভিষেক।
আরও পড়ুন:- দলবদলে চমক! পౠ্লে-অফের আগে কখনও IPL না খেলা জিম্বাবোয়ের পেসারকে দলে নিল RCB
দাপুটে জয় হায়দরাবাদের
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শেষমেশ ১০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে। শুরুতে ব্যাট করে লখনউ সুপার জায়ান্টস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২০৬ রান তুল🌜ে নেয়।