সিরিজের প্রথম ম্যাচের অ্যাকশন রিপ্লে বলা যায়। তফাৎ হল এই যে, পাকিস্তানের কাছে এবার বাংলাদেশকে লাঞ্ছিত হতে হয় আরও বেশি। তবু মান বাঁচে বাংলাদেশের ৯ নম্বর ব্যাটার তানজিম হাসান শাকিবের সৌজন্যে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৭ রানে পরাজিত হয়। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ২০১ রানের জবাবে বাংলাদেশ অল-আউট হয় ১৬৪ রানে। এবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচেও দেখা যায় একই রকমের ছবি।
শুক্রবার লাহোরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান সংগ্রহ করে। হাফ-সেঞ্চুরি করেন সাহেবজাদা ফারহান ও হাসান নওয়াজ।
ফারহান ৪১ বলে ৭৪ রান করেন। মারেন ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা। নওয়াজ ২৬ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বলে ১৯ রান করেন ক্যাপ্টেন সলমন আঘা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ৩৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন তানজিম হাসান শাকিব। ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৯ ওভারে ১৪৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অবশ্য বল করার সময় চোট পাওয়া শরিফুল ইসলাম ব্যাট করতে নামেননি। বাংলাদেশ ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে। পাকিস্তান এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয়।
বাংলাদেশের হয়ে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তানজিম হাসান শাকিব। তিনি ৩১ বলে ৫০ রান করেন। মারেন ১টি চার ও ৫টি ছক্কা। এছাড়া ওপেনার তানজিদ হাসান ১৯ বলে ৩৩ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ২৩ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ২টি চার মারেন।
পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন আবরার আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন হাসান আলি, ফহিম আশরাফ, হ্যারিস রউফ, শাদব খান, খুশদিল শাহ ও সইম আয়ুব। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ফারহান।