হেমা মালিনীর সঙ্গে ধর্মেন্দ্র যখন প্রেম করছিলেন তখন তিনি বিবাহিত ছিলেন। ড্রিম গার্লকে বিয়ে করার জন্য ধর্ম পর্যন্ত পাল্টে ফেলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ধর্মেন্দ্রর কোনও ছেলের সম্পর্কে এমন কোনও খবর শোনা যায়নি। এত ক্লিয়ার ইমেজ কীভাবে বজায় রেখেছেন তাঁরা? সানি এবং ববির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এই বিষয়ে বেশ মজাদার একটি ঘটনার কথা শেয়ার করলেন ‘আপনে’ পরিচালক অনিল শর্মা।পরিচালক অনিল শর্মা।
সিদ্ধার্থ কান্নারের সঙ্গে আলাপচারিতায় অনিল শর্মা বলেন, ‘আপনে শুটিং চলাকালীন আমি, সানি, ববি এবং ধরম জি একটি ভ্যানিটি ভ্যানে একসঙ্গে বসেছিলাম। কথায় কথায় ধরম জি বলেন, আমার ছেলেরা ভীষণ সোজা সাপটা। এদের দ্বারা প্রেম-টেম কিছু হবে না। ওরা আমার মতো একদম না।’
অনিল শর্মা বলে চলেন, ‘ধরম জি বুঝতে পারেননি যে সেখানে দুই ছেলেই উপস্থিত ছিলেন। তিনি আপন মনে বলে চলেন, আরে সত্যি কথা বলতে এদের সঙ্গে কোনও বড় হিরোইনের কোনও সম্পর্কই তৈরি হয়নি কোনওদিন।আসলে বড় হিরোইনদের সঙ্গে কাজই করেনি এরা। আমার সময় আমার পিছনে মেয়েরা পড়ে থাকত, এদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয় না।’
হাসতে হাসতে অনিল বলেন, ‘সবশেষে ধর্মেন্দ্র জি এদিক ওদিক তাকিয়ে শেষে নিচু গলায় বলেন, এরা কিছু বোঝে না। ভীষণ সোজা সাপ্টা। যদি আমিও ভীষণ ভালো। বড্ড ভালো মানুষ।’ (হাসতে হাসতে বলেন ধর্মেন্দ্র)।
আরও পড়ুন: খাদান ব্লকবাস্টার হতেই প্রসেনজিৎকে শ্রদ্ধা দেবের! কেন?
আরও পড়ুন: খ্যাতি পেতেই বন্ধুকে ভুলে গেছেন কার্তিক, ধরেন না ফোনও! বিস্ফোরক অভিযোগ সন্দীপ সিংয়ের
ববির থেকে সানির সঙ্গে বেশি কাজ করেছেন অনিল। ‘গদর’ সিনেমার আইকনিক সাফল্যের পর ‘গদর ২’ সিনেমাটিও পরিচালনা করেছিলেন তিনি। দুটি সিনেমায় যে আক্ষরিক অর্থে ইতিহাস তৈরি করেছিল তা বলাই বাহুল্য। অনিল শর্মা পরিচালিত ‘বনবাস' সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর। এই সিনেমায় নানা পাটেকরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন উৎকর্ষ শর্মা। বহুদিন বাদে এই সিনেমায় নানা পাটেকরের অভিনয় দেখতে পেলেন ভক্তরা। সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে সমালোচকদের কাছে।