প্রাক্তন বলি-অভিনেত্রী তথা লেখিকা টুইঙ্কেল খান্নার সোজাসাপ্টা কথা বলার দক্ষতার কথা কারুই অজানা নয়। 'মিসেস ফানি বোনস'-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন নেটিজেনদের একাংশ।আরভ ও নিতারা- দুই সন্তানকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ অক্ষয়-টুইঙ্কেলের। টুইঙ্কেলকে তাঁদের বড় ছেলে আরভ একবার জিজ্ঞেস করেছিল অন্যদের তুলনায় কেন তাঁরা এত বড়লোক।সম্প্রতি, টুইক ইন্ডিয়ার ইউটিউব চ্যানেল আয়োজিত একটি আড্ডা আলোচনা অনুষ্ঠানে ইনফোসিস ফাউন্ডেশন সংস্থার চেয়ারপার্সন তথা জনপ্রিয় লেখিকা সুধা মূর্তির সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠেছিলেন টুইঙ্কেল। সেখানেই কথায় কথায় প্রাক্তন বলি-সুন্দরী জানান যে আকছার এমন হয় যে যেসব ছেলেমেয়েরা জন্ম থেকেই বৈভবের মধ্যে বড় হয় তাঁরা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের ছাপোষা জীবন দেখে মরমে মরে যায়। এই অযাচিত বিলাসিতা, সুযোগ সুবিধার পাওয়ার সুবাদে নিজেদেরই দোষী ভাবতে শুরু করে তারা। এরপরেই সুধাকে টুইঙ্কেল জিজ্ঞেস করেন কীভাবে এহেন পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের সন্তানকে সামলেছিলেন তিনি।জবাবে ইনফোসিস ফাউন্ডেশন সংস্থার চেয়ারপার্সন জানান তিনি একবার তাঁর ছেলে রোহানকে নিয়ে একবার আদিবাসীদের অঞ্চলে হাজির হয়েছিলেন। তখন তাঁর সন্তানের বয়স বড়জোর ১৩। সেই আদিবাসীদের দেখিয়ে তিনি রোহনকে বুঝিয়েছিলেন যে এঁদের মধ্যে কেউ হয়ত তাঁর থেকেও বেশি প্রতিভাধর। কিন্তু স্রেফ পরিস্থিতির অভাবে সে নানান সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাই আজ রোহন যা পাচ্ছে তা যেন কখনওই সে হেলায় না নেয়। তার মর্যাদা যেন সে দেয়।সুধা মূর্তির কথা শেষ হতেই এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন টুইঙ্কেলও। বলেন তিনিও একবার অরভকে এই বিষয়ে বুঝিয়েছিলেন। 'মিসেস ফানি বোনস'-এর কথায়, 'আরভ একবার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল কেন আর পাঁচজন মানুষের তুলনায় আমরা এত আরামে থাকি? কেন এত সুযোগ সুবিধা পাই? ওঁকে বুঝিয়েছিলাম যখন মুখে রুপোর চামচ নিয়ে জন্মেছ তখন তা যত্ন ও মর্যাদার সঙ্গে সামলানোরও দায়িত্ব তোমাকেই নিতে হবে। আর যদি সেই চামচ রুপোর না হয় প্লাস্টিকের হয়, তবুও সামলাতে হবে তোমাকেই। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি সেই চামচ দিয়ে যখন খাবার তুলবে চেষ্টা করবে সেই খাবারের ভাগ তাঁদেরও দিতে যাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কেউ নেই!' নিজের বক্তব্য শেষে টুইঙ্কেলের সংযোজন, ' সেদিনের পর থেকে ধীরে ধীরে পাল্টে গেছিল আরভ। বুঝেছিল বৈভব, বিলাসিতাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যায়'।