প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর জাতীয় দুগ্ধ দিবস পালিত হয়। দুধের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই দিনটি পালিত হয়। দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে। এছাড়া দুধে উপস্থিত প্রোটিন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। যদিও দুধের অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবুও গর্ভবতী মহিলারা এটি পান করার আগে বিভ্রান্ত হন। গর্ভাবস্থা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন দুধ ভালো এবং তা পান করার সঠিক উপায় কী।
গর্ভাবস্থায় কোন দুধ ভালো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় গরুর দুধ পান করা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এই দুধে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। একটি সুস্থ গর্ভাবস্থা এবং সন্তানের বৃদ্ধির জন্য, খাদ্যে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় মহিষের দুধ পান করার পরামর্শ দেন না কারণ এতে উচ্চ চর্বি রয়েছে। যেখানে মহিষের দুধ ভারী এবং হজম করা কঠিন, যা গর্ভাবস্থায় কিছু মহিলাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় দুধ পান করার নিরাপদ উপায়
গর্ভাবস্থায় দুধ পান করার নিরাপদ উপায় সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। রোগের ঝুঁকি কমাতে শুধুমাত্র পাস্তুরিত দুধ এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনিও যদি এক গ্লাস পূর্ণ দুধ গলিয়ে ফেলেন, তাহলে এটি করবেন না। সবসময় মনে রাখবেন গরম দুধে চুমুক দিতে সময় নিন এবং খাওয়ার পরপরই দুধ পান করবেন না।