শেখ হ꧟াসিনা সরকারের পতনের পর যেখানে বাংলাদেশজুড়ে তাঁরই দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী, বিভিন্নস্তরের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপꩲ করা হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে লন্ডনে এক দলীয় সহকর্মীর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেখা গেল হাসিনার আমলের অন্তত চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে! ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমꦓ - প্রথম আলো - অনুসারে, লন্ডনের একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসেছিল এই বিয়ের আসর। পাত্র - যু🃏ক্তরাজ্য আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের ছেলে ফাইয়াজ রহমান। দাবি করা হচ্ছে, সেই বিয়ের অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পূর্বতন হাসিনা সরকারের অন্তত চারজন মন্ত্রী।
এঁরা হলেন - আওয়ামী লিগের যুগ্মও সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হাসান মেহমুদ, আওয়ামী লিগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রহমান, প্রাক্তন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মেহমুদ চৌধুরী এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লিগের সভাপতি তথা প্রাক্তন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
বাংলাদেশি সಞংবাদমাধ্যমে বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকাকালীন এঁদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই আসরে দেখা গিয়েছে আরও এক প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিকে। তিনি হলেন, সিলেট - ৩ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসারে, হাসিনা সরকার🎉ের পতনের পর এই প্রথম সংশ্লিষ্ট চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে একসঙ্গে কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল।
এর আগে গত বছরের (২০২৪) ৮ ডিসেম্বর লন্ডনে শেখ হাসিনার একটি ভার্চুয়াল সমাবেশ হয়। সেখানেই প্রথমবার (হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে) প্রকাশ্যে দেখা যায় সভাপ🍷তꦯি মণ্ডলীর সদস্য ও প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুর রহমান এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লিগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীকে।
পরবর্তীতে, চলতি বছরের (২০২৫) ২ ফেব্রুয়ারি লন্ডনেই আওয়ামী লিগের একটি কর্মিসমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মেহমুদ চৌধুরী। এরপর গত ৩০ মার্চ (২০২৫) লন্ডনে প্রকাশ্যেই ইদ পালন করেন আওয়ামী লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী হাসান মেহমুদ। সেই সময়ে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, তিনি ইদের আগে পর্যন্ত বেলজিয়ামে ছিলেন। লন🦩্ডনে তাঁর ছেলে পড়াশোনা করছেন। তাঁর সঙ্গে ইদ পালন করতেই লন্ডন পৌঁছে যান হাসান মেহমুদ।
প্রথম আলো অনুসারে - বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীদের এভাবে বিয়ের আসরে অংশগ্রহণ নিয়ে নাকি উষ্মা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লিগের নেতা ও কর্মীদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, 'দেশে আওয়ামী লিগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে𒁏 বিপদের মুখে ফেলে পালিয়ে এসে তাঁরা কীভাবে এসব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, তা ভাবতেও লজ্জা লা🦹গে!'