বেআইনিভাবে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ পাচার করছিলেন দুই মহিলা। তাও আবার এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কামরাতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কচ্ছপগুলো। তাদের ব্যাগ চেক করতে বেরিয়ে এল প্রচুর পরিমাণে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। যার সংখ্যাটা হল ১১১ টি। বেআইনিভাবে কচ্ছপ পাচার করার দায়ে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে আরপিএফ এবং জিআরপি। বর্ধমান স্টেশন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আরপিএফ এবং জিআরপি সূত্রের খবর, দুই মহিলার নাম হল সীমা এবং পান্নি। তারা উত্তরপ্রদেশের পাকারি থানা এলাকার সুলতানপুরের বাসিন্দা। সম্প্রতি, ট্রেনে কচ্ছপ পাচারের ঘটনা বেড়ে চলেছে। তারপরেই ট্রেনগুলিতে তল্লাশিও বাড়িয়েছে রেল। সূত্রের খবর, আরপিএফ হাওড়া-চম্বল এক্সপ্রেসে রুটিন মাফিক তল্লাশি চালাচ্ছিল। সেইসময় এসি ১ কামরা থেকে সন্দেহজনক কিছু ব্যাগ দেখে সেগুলি খুলতেই বেরিয়ে আসে ৩২ টি কচ্ছপ। অন্যদিকে, স্টেশনের ৪ এবং ৫ নম্বর প্লাটফর্মে দুজন মহিলাকে এবং দুটি ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখে তাদের প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিআরপি। টতাদের কথায় অসঙ্গতি মেলায় তাদের ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে ৭২টি কচ্ছপ।কিছুদিন আগেই হাওড়া স্টেশন থেকে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার করেছিল আরপিএফ। আরপিএফের অনুমান, পাচারকারীরা এখন মহিলাদের কচ্ছপ পাচারের জন্য ব্যবহার করছে । যাতে তাদের দেখে সন্দেহ না হয়, তার জন্য মহিলাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। আরপিএফের অনুমান, কচ্ছপগুলি পশ্চিমবাংলা থেকে উত্তরপ্রদেশে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। এগুলি উদ্ধারের পর বনবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।