যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে বামপন্থী সংগঠনগুলির ছাত্র ধর্মঘটের দিন মেদিনীপুর মহিলা থানায় ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই দিন মেদিনীপুর মহিলা থানার আইসি সাথী বারিকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী তাঁদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন বলে আলাদা আলাদা অভিযোগ করেছিলেন এসএফআই নেত্রী সুচরিতা দাস ও ডিএসও নেত্রী সুশ্রিতা সরেন। ওই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে আলাদা মামলা করেন ২ নেত্রী। সুচরিতার করা মামলায় সিসিটিভি ফুটেজসহ যাবতীয় ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে IPS মুরলীধর শর্মাকে খতিয়ে দেখে ২৫ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বুধবার হাইকোর্টে ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন - ‘ওদের মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ফেলব’, শুভেন্দুর মন্তব্যে বিতর্ক
পড়তে থাকুন - 'বসিরহাটের হিন্দুদের অবস্থা সিরিয়ার খ্রিস্টানদের মতো'
এদিন হাইকোর্টে সুচরিতা ও সুশ্রিতার করা ২টি মামলার শুনানি একসঙ্গে হয়। বিচারপতি অভিযোগ শুনে বলেন, এই ঘটনায় যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেন IPS মুরলীধর শর্মাকে। তাঁকে ২৫ মার্চের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে। ওদিকে এই ঘটনায় সাথী বারিকসহ যে সব মহিলা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।
আরও পড়ুন - নারায়ণগড় TMC পার্টি অফিসে ‘ধর্ষণ’,মহিলাকে উদ্ধারকারী যুবককেই গ্রেফতার করল পুলিশ
এদিন সুশ্রিতা সরেনের আইনজীবীর বক্তব্যও মন দিয়ে শোনেন বিচারপতি। এর পর তাঁকে মারধরের তথ্যপ্রমাণও খতিয়ে দেখা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া এই ঘটনায় আদিবাসী কমিশনকে যুক্ত করার নির্দেশ দেন তিনি। সঙ্গে অভিযোগকারীদের আঘাত পরীক্ষা করার জন্য রাজ্যের নামি চিকিৎসকদের দিয়ে বোর্ড গঠন করা যায় কি না তাও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।