কলকাতায় আবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ মাঝরাতে জেবিএস হ্যালডেন অ্যাভিনিউ এলাকা থেকে ꦅদুটি ৭এমএম বন্দুক, দুটি ভর্তি এবং একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই বেআইনি অস্ত্র কেন রাখা হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দফায় দফায় জেরা শুরু করা হয়েছে।
এদিকে এপ্রিল মাসে রামনবমী রয়েছে। ওই দিন যাতে গোলমাল পাকানো যায় তাই এই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছিল বলে পুলিশ প্রাথমিত তদন্তে জানতে পেরেছে। শহরের বুকে নাশকতা ঘটাতে পারলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে। তাই এমন করার পরিকল্পনা করেছিল কয়েকজন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা সেটা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগে বেশ ক♕য়েকটি জায়গায় রামনবমীর দিন অস্ত্র দেখা গিয়েছিল। গোলামালের সময় গুলি পর্যন্ত চলেছিল। এবারও তেমন ছক ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড বর্ধমান রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল, পরিচালন সমিতির বৈঠকেই গৃহীত সিদ্ধান্ত
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই যুবকের নাম মোবারক হোসেন ওরফে সাহেব শেখ এবং দ্বিতীয়জন আব্রাহিম শেখ। এই দু’জনেরই বাড়ি মালদার কালিয়াচক থানার নারায়ণপুর গ্রামে। এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অ্যাকশনে নেমেছিল। এই দুই যুবককে তারপরই বেআইনিভাবে অস্ত্র মজুত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের তল্লাশি করতেই অফিসারদের হাতে আসে দুটি ৭এমএম পিস্তল–সহ কার্তুজ। আরও পিস্তল তাদের কাছে আসার কথা ছিল। আর এই আগ্🐻নেয়াস্ত্রগুলি অন্যত্র পাচার করার কথা ছিল। আর সেটা করতে গিয়েই তারা এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে যায়। আর কোন তথ🤡্য আসে সেটাই দেখার।
তাছাড়া ধৃত দুই যুবক কোন গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদা থেকে কলকাতায় এসে তারা অস্ত্র পাচার করত। মালদা জেলার কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে তারা জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রামনবমীতে এই অস্ত্র ব্যবহার করেই নাশকতা করার ছক কষা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে গোটা বিষয়টি জানতে জেরা করা হচ্ছে ওই দুই অভিযুক্ত যুবককে। এদের মাথা কে? সেটা জানতে চা🦄ইছে পুলিশ।