সদ্য ব্রেথ অ্যানালাইজার বন্ধ করেছে কলকাতা পুলিশ। উলটে মদ্যপ বলে সন্দেহ হলেই চালককে পাঠিয়ে দেওয়া হবে হাসপাতালে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ করোনাভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে রাজ্যে। আর ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে পুলিশও সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন। এবার গাড়ি ও মোটরবাইক চালকদের জন্য এবার স্পট ফাইন দেওয়ার প্রক্রিয়ায় বদল আনছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। আর সেটা হল ফাইন দিতে ফোনেই আসবে নোটিশ। ওই মেসেজের সঙ্গে থাকবে একটি লিঙ্ক। সেই লিঙ্কের মাধ্যমেই অনলাইনে মেটানো যাবে জরিমানার টাকা।এখন রাস্তায় আর স্পট ফাইন নেওয়া হবে না। এখানেও সংক্রমণের ভয় আছে। টাকা থেকে সংক্রমণ ঘটতে পারে। আবার ব্যক্তির কাছ থেকে জরিমানা নিতে গেলে কথা বলতে হবে। সেখান থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই বিকল্প পথ হিসাবে এই অনলাইনে স্পট ফাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার থেকে তা অনলাইনে করার তোড়জোড় করছে ট্রাফিক পুলিশ। জরিমানা যা ধার্য হবে সেটা গাড়ির মালিককে পেমেন্ট করতে হবে অনলাইনে। ই–ওয়ালেট, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যাবে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং ই–ওয়ালেট সংস্থার কথাবার্তা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পুলিশের একাধিক কর্মীকে। ট্রাফিক পুলিসদের রোজই বিভিন্ন গাড়ির চালকদের সংস্পর্শে আসতে হয়। স্পট ফাইন নিতে হয়। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই আশঙ্কা থেকেই স্পট ফাইন তুলে দিয়ে অনলাইন জরিমানা চালু করা হচ্ছে।কেমন করে নেওয়া হবে এই অনলাইন ফাইন? লালবাজার সূত্রে খবর, রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটি স্মার্টফোন থাকবে। তাতে ইনস্টল করা হবে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ অ্যাপ। তাতে গাড়ির নম্বর টাইপ করলেই ভেসে উঠবে গাড়ির সমস্ত নথিপত্র। তার ভিত্তিতেই জরিমানার বিবরণ পাঠানো হবে মালিকের মোবাইলে। কেস রেজিস্টার হলেই মেসেজ যাবে চালকের মোবাইল। সেখানে থাকবে একটি লিঙ্ক। আর সেই লিঙ্কের মাধ্যমেই ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যে সরাসরি জরিমানার টাকা জমা দিতে পারবেন মালিক। পুলিশের কাছেও কার্ডে পেমেন্ট করার একটি মেশিন থাকবে। তার মাধ্যমেও দেওয়া যাবে জরিমানার টাকা।