প্রথম টেস্টে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনের মধ্যেই খেলা শেষ করে দিতে পারে নিউজিল্যান্ড দল। তাঁদের সামনে এই টেস্ট জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ১০৭ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দল শেষ হয় ৪৬২ রানে। সরফরাজ খানের ১৫০, ঋষভ পন্তের ৯৯, বিরাট কোহলির ৭০ এবং রোহিত শর্মার ৫২ রানে ভর দিয়ে ভালোই লড়াই করে টিম ইন্ডিয়া। তবে প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতাই কাল হল ভারতের।
১০৭ মিটারের ছয় পন্তের-
বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় ব্যাটিংকে নির্ভরতা দিচ্ছিলেন ঋষভ পন্ত। যতক্ষণ তিনি মাঠে ছিলেন স্বস্তিতে ছিল টিম ইন্ডিয়া। ৯৯ রানের মাথায় তিনি অসহায়ভাবে আউট হতেই ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় হয়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এই ম্যাচ কিউয়িরাই জিতবে। তবে ভারতীয় ব্যাটারদের চাপের মূহূর্তেও টিম সাউদিকে ১০৭ মিটারের ছয় মারেন পন্ত।
সাউদিকে কোনও সম্মানই দিলেন না পন্ত-
ভারতীয় ইনিংসের ৮৭তম ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন কিউয়িদের দলের সব থেকে অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি। যিনি কদিন আগে পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড দলের স্টপগ্যাপ অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে ৯০-এর ঘরে থাকা ঋষভ পন্ত, তার বোলিংকে কোনও সম্মানই দিলেন না, মারলেন সপাটে ছয়।
আরও পড়ুন-এক যুগ পর ভারতে এসে শতরান কিউয়ি ব্যাটারের! রস টেলরের পাশে নাম তুললেন রাচিন রবীন্দ্র…
একঝলকে পন্তের ছয় মারার সেই ভিডিয়ো-
ঋষভ পন্তকে আউটসাইড অফ স্টাম্প একটি গুড লেনথ বল করেছিলেন টিম সাউদি। কিউয়ি পেসার ভেবেছিলেন হয়ত সেই বল অফসাইডেই খেলবেন পন্ত। কিন্তু তিনি যে অন্য জিনিস, সেটাই বিশাল ছয় মেরে বুঝিয়ে দিলেন ঋষভ পন্ত। মাটিতে বসে অফসাইডের বলকেই ফাইন লেগের দিকে পুল করে বিশাল ছক্কা হাঁকালেন ভারতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
পন্তের ছয় টপকে গেল স্টেডিয়াম-
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে অনেকে ছোট মাঠ বলে থাকেন। কিন্তু সেই মাঠেই পন্ত যে ছয়টা মারলেন, তা দীর্ঘ ১০৭ মিটার লম্বা। বল মাঠের ছাদ টপকে স্টেডিয়ামের বাইরেই চলে গেল। যা দেখে অবাক হয়ে যান কিউয়িদের স্পিনার অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। তিনি অনেক্ষণ অবাক চোখেই তাকিয়ে থাকেন বলের দিকে। টিম সাউদিও কিছুটা হতবাক হয়ে যান, এত বড় ছয় খেয়ে। যদিও এর কিছুক্ষণ পরই উইল ও রুরকির বলে ৯৯ রানের মাথায় প্লে ডাউন হয়ে সাজঘরে ফেরেন পন্ত।