টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা দুরন্ত ছন্দ করল আমেরিকা। অ্যারন জোন্সের তান্ডব🎃ে কানাডাকে দুরমুশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ঝোড়ো ৯৪ করে (২৪ বলে) অপরাজিত থেকে সকলের নজর কাড়লেন। হলেন ম্যাচের সেরাও। তাঁর তাণ্ডবেই কানাডার দেওয়া ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৭ করে ফেলে আমেরিকা।
নিউইয়র্কের ডালাসে ভারতীয় সময় অনুসারে রবিবার সকাল ৬টায় ছিল কানাডা এবং আমেরিকার ম্যাচ। টস জিতে প্রথমে কানাডাকে ব্যাট করতে পাঠান আমেরিকার ক্যাপ্টেন মনাঙ্ক প্যাটেল। সাদ বিন জাফরের কানাডা প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে। কানাডার ওপেনার নভনীত ধালিওয়াল (৬১) এবং নꦉিকোলাস কীর্তন (৫১) হাফসেঞ্চুরি করেন। আমেরিকার 𝄹হয়ে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রিস গাউস ৪৬ বলে ৬৫ রান করেন। সঙ্গে অ্যারন জোন্সের তাণ্ডব। দুরন্ত ছন্দে ম্যাচ জিতে নেয় আমেরিকা।
আরও পড়ুন: নরম মাঠ, স্প🔯ঞ্জি পিচ… ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোটের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তায়🗹 দ্রাবিড়
ম্যাচের পর অ্যারন জোন্স বলেন, ‘যখন আমাকে মেজর লিগে নেওয়া হল না, তখন সেই ধাক্কাটাকেই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে পরিণত করি। আমি মেজর লিগের তালিকায় সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম ৷ তবে, সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে ৷ তাই এদিনের পর, যারা আমাকে এবং মার্কিন ক্রিকেটকে𓆏 জানে না, তাদের চোখ খুলে যাবে ৷ আমাদের এখানে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়♛েছেন ৷ আর আমরা শীর্ষ পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলিতে খেলার যোগ্য।’
আরও পড়ুন: ওর⭕ ইংরেজি আমার উর্দুর চেয়ে অনেক ভালো- বাবরকে নিয়ে কটাক্ষের মোক্𝓰ষম জবাব ডি'ভিলিয়ার্সের
তিনি যোগ করেন, ‘কখনও কখনও একজন ক্রিকেটার হিসেবে, কিছুটা কম স্কোর থাকলে, আত্মবিশ্বাসের অভাব হতে পারে। আপনি কিছুটা রাডারের নীচে 🔜থাকতে পারেন। আমি সব সময়ে নিজেকে সমর্থন করি এবং জানি যে, আমি প্রতিটি স্তরে পারফর্ম করতে সক্ষম। আমি খুশি যে আমি পারফর্ম করে দলকে জেতাতে পেরেছি।’ জোন্স এদিন ৯৪ রান করতে ১০টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন, যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা। এর আগে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ১১টি ছক্কার হাঁকিয়েছিল।ও এছাড়া গেইলের ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০টি ছয়েরও নজির রয়েছে।
আমেরিকার পরবর্তী ম্যাচ বৃহস্পতিবার একই ভেন্যুতে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এবং ১২ জুন ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। এবং কানাডা শুক্রবার নিউইয়র্কে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। জোন্স দাবি করেছেন, তাঁরা পরবর্তী ম্যাচগুলিতেও নির্ভীক ক্রিকেট খেলতে থাকবেন। বলেছেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব জিততে চাই। সব ম্যাচই জিততে পারব, এমনটা বলছি না। তবে আমাদের পরিকল্পনায় কোনও বদল হবে না। আমরা নির্ভীক ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা একই মানসিকতা নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও খেলতে নামব। আমরা যার বিরুদ্ধেই খেলি না কেন, যেভাবে খেলছি 🌠সেভাবেই চালিয়ে যেতে চাই। আমরা পাকিস্তান বা ভারত যে দলই সামনে থাকুক, আমরা নির্ভীক ক্রিকেট খেলার কোনও পরিবর্তন করতে চাই না।’