নীতীশ কুমার রেড্ডি এই দিনটি কখনও ভুলতে পারবেন না। মাত্র ২১ বছর বয়সে, তিনি মেলবোর্নের মাঠে ৮৩ হাজার দর্শকের সামনে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন। এই সময়ে মাঠে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা মুতয়ালা রেড্ডি সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য। কী হল তারপর?
নীতীশের শতরানের পরেই আবেগে ভাসল রেড্ডি পরিবার (ছবি-AP)
নীতীশ কুমার রেড্ডি এই দিনটি কখনও ভুলতে পারবেন না। মাত্র ২১ বছর বয়সে, তিনি মেলবোর্নের মাঠে ৮৩ হাজার দর্শকের সামনে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন। এই সেঞ্চুরি এমন একটা সময়ে তিনি করেছেন যখন টিম ইন্ডিয়া বেশ চাপে ছিল, এবং এই রানটা দলের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল।
একটা সময়ে টিম ইন্ডিয়া ফলোঅনের সঙ্গে লড়াই করছিল, নীতীশের এই শতরান শুধু ফলোঅনের হুমকি থেকে দলকে রক্ষা করেনি, এর পাশাপাশি নিজের দলকে ম্যাচেও ফিরিয়ে এনে ছিল। এই সেঞ্চুরি দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা মুতয়ালা রেড্ডি সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য। যা দেখে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
নীতীশ কুমার রেড্ডি যখন স্কট বোল্যান্ডের বলে সামনে একটি বড় শট মেরে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, তখন তার বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি তা থামাতে না পেরে হাজারো মানুষের মাঝে কাঁদতে থাকেন। চারপাশের সকলের কাছ থেকে অভিনন্দন পেতে থাকেন। এই সময়ে তিনি হাত জোড় করে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। এই সিরিজেই টেস্ট অভিষেক হয় নীতীশের। তিনি ক্রমাগত ভালো ইনিংস খেলছিলেন, কিন্তু মেলবোর্নের ঐতিহাসিক মাঠে প্রথমবারের মতো ৫০ রানের সীমা অতিক্রম করেন। হাফ সেঞ্চুরি করেও থেমে থাকেননি তিনি। সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন নীতীশ কুমার রেড্ডি।
মুতয়ালা রেড্ডি তার ছেলের সেঞ্চুরি সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমাদের পরিবারের জন্য, এটি একটি বিশেষ দিন এবং আমরা আমাদের জীবনে এই দিনটিকে ভুলতে পারব না। তিনি ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে ভালো পারফর্ম করছেন এবং এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি একটি বিশেষ অনুভূতি। আমি অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে শুধু শেষ উইকেটে সিরাজ বাকি ছিলেন।’
নীতীশের বোন বলেন, ‘আমরা সকলেই খুব খুশি। ওর জন্য আমরা সকলেই এখানে এসেছি। ওর প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, এই আনন্দটা ব্যাখ্যা করা যাবে না। আমার বাবা তো কেঁদেই ফেলেছিলেন।’ এরপরে নীতীশের মা তো কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব খুশি, এটা বড্ড আবেগের মুহূর্ত।’