3 মিনিটে পড়ুন Updated: 21 Dec 2023, 03:30 PM ISTSubhasmita Kanji
Kabuliwala: ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সুমন ঘোষের কাবুলিওয়ালা। তার আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মুখোমুখি হয়েছিল মিনি, ওরফে অনুমেঘা। জানাল শুটিংয়ের নানা অভিজ্ঞতা।
কাবুলিওয়ালার শুটিংয়ে করা দুষ্টুমির গল্প শোনাল ‘মিনি’ অনুমেঘা
আগামীকাল, ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সুমন ঘোষ পরিচালিত কাবুলিওয়ালা। হ্যাঁ, রবি ঠাকুরের জনপ্রিয় ছোট গল্প অবলম্বনে ফের নতুন ছবি আসছে। আর তার ঠিক আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা মুখোমুখি হয়েছিল ছোট্ট মিনির। ওরফে অনুমেঘা কাহালির। সে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফের অফিস জুড়ে ছুটে ছুটে খেলে বেড়াচ্ছিল তার মাঝেই খেলার ছলে কিছু কথা জেনে নেওয়া গেল। বাদ গেলেন না তার মা, ঋতুপর্ণা কাহালিও। তিনিও জানালেন মেয়ের এই পথচলার বিষয়ে অজানা কথা।
কালকেই তো মুক্তি পাচ্ছে কাবুলিওয়ালা। তুমি কি এই গল্পটা পড়েছ?
অনুমেঘা: পড়িনি, কিন্তু দেখেছি। তপন সিনহার তৈরি করা ছবিটি দেখেছি, খুব ভালো লাগছে।
সেখান থেকে কি কিছু শিখেছ?
অনুমেঘা: না, একেবারেই না।
তাহলে কে সবটা শিখিয়েছিল, সুমন আঙ্কেল?
অনুমেঘা: হ্যাঁ। সুমন আঙ্কেলই তো অ্যাক্টিং (অভিনয়) শিখিয়েছে। কী কী করতে হবে সবটা বলে দিয়েছে।
মিঠুন আঙ্কেলের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করলে, কেমন লাগল? কী কী করতে সেটে?
অনুমেঘা: খুব ভালো লেগেছে। অনেক মজা করে কাজ করেছি আমরা। আমি তো ওঁর (মিঠুন চক্রবর্তী) সঙ্গেই থাকতাম। ওঁর পাগড়ি ধরে গুঁতো মারতাম, পাগড়ির ভাঁজ খুলে দিতাম। নকল দাড়ি লাগাত তো, সেটা ধরে চুলকে দিতাম। তারপর ভুঁড়ি বাজাতাম। খুব মজা করেছি।
আদৃত আঙ্কেলের সঙ্গে তো এর আগে কাজ করেছ। এই ছবির জন্য তিনি কী বললেন?
আচ্ছা, ও যে এত ছোট থেকে অভিনয় করছে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কখনও অসুবিধা হয়নি?
ঋতুপর্ণা: না, কখনই অসুবিধা হয়নি। ওর প্রধানত সকালের দিকে শুট থাকত। তাই বিকেলে ফিরে পড়ার সময় পেত। শুটিংয়ের সময় স্কুল যেতে পারত না। তবে সমস্ত নোটস, যাবতীয় স্কুল থেকে পাঠিয়ে দেয়া হতো। ভীষণ সাপোর্ট পেয়েছি প্রযোজনা সংস্থা, স্কুল দুই জায়গা থেকেই।
আপনি কি ওকে বিশেষ কিছু শিখিয়েছিলেন এই ছবির জন্য? কোনও হোমওয়ার্ক?
ঋতুপর্ণা: না, একেবারেই কোনও হোমওয়ার্ক করাইনি। সুমন দা বলে দিয়েছিলেন যে ওকে কোনও চাপ যেন না দেওয়া হয়। এমনকি ডায়লগের জন্যেও। ও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যতটা করে ততটুকুই চাওয়া হয়েছিল এই ছবির জন্য। একেবারে ফ্রি, নির্ভয়ে রাখা হয়েছিল ওকে। ও যেমন এখন দেখছেন নিজের মতো রয়েছে তখনও তাই ছিল। তবে ওর জন্য একটা স্ক্রিপ্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাটাই ইংরেজি হরফে লেখা ছিল তাতে। ও যখন ফ্রি থাকত সেটা গল্পের মতো করে পড়ত।