শারিব তাঁর সন্তানদের নিয়েও মুখ খোলেন। আমার সন্তানেরা অনেক অল্প বয়সেই বেশ পরণত হয়ে যায়। কারণ ওরা ওদের মাকে কঠিন স্বাস্থ্য সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছিল। ওরা বড় হওয়ার সঙ্গে দেখে ওদের মা অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে, ওদের মায়ের চেহারাও বদলে যাচ্ছে'।
স্ত্রী নাসরিনের সঙ্গে শারিব হাশমি
কেরিয়ারে যখন সুন্দর সময়ের হাত ধরে হাঁটছিলেন, ঠিক তখনই ব্যক্তিগত জীবনটা ছিল মুষড়ে পড়ার মতো। সম্প্রতি স্ত্রী নাসরিনের ক্যানসার ধরা পড়া নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা শারিব হাশমি। যিনি কিনা ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ এবং ‘অসুর’-এর মতো ওয়েব শোতে নিজের কাজের জন্য পরিচিত পেয়েছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা শারিব হাশমি বলেন, তাঁর স্ত্রীর ২০১৮ সালে প্রথম মুখের ক্যানসার ধরা পড়ে। তবে তাঁর সত্রী যখনকঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেন। যার মধ্যে একটি ছিল ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’। শারিব বলেন যে এটাই হয়চ ছিল এই মহাবিশ্বের ভারসাম্য বজায় রাখার উপায়। কারণ পরিবারে তখন ভীষণই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল।
কঠিন সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে শারিব বলেন, ‘আমি জানি না এটাকে কী বলা যায়… এটাই হয়ত একটা ঐশ্বরিক রহস্য। এদিকে স্ত্রী মুখের ক্যানসার ধরা পড়ার পর যখন অস্ত্রোপচার হয় তখন আমি কাজ পেতে শুরু করি। আমি এর পরে ’দ্য ফ্যামিলি ম্যান' এবং ‘অসুর’ ওয়েব সিরিজের কাজ পাই। একদিকে আমার ক্যারিয়ার ভালো চলছে, কিন্তু স্ত্রী ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন।' শরিব হাশমি তাঁর স্ত্রীর দৃঢ় মনোর জোরের কথা জানিয়ে বলেন, এখন ও ভালো আছে। তবে অতীতে ওর চারবার অস্ত্রোপচারের হয়েছে। তবে প্রতিবারই ও ৪-৫ দিনের মধ্যেই সুস্থ ফিরে এসেছে। এমন দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি খুব কম মানুষেরই দেখেছি।'
শারিব তাঁর সন্তানদের নিয়েও মুখ খোলেন। আমার সন্তানেরা অনেক অল্প বয়সেই বেশ পরণত হয়ে যায়। কারণ ওরা ওদের মাকে কঠিন স্বাস্থ্য সংকটের মধ্য দিয়ে যেতে দেখেছিল। ওরা বড় হওয়ার সঙ্গে দেখে ওদের মা অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে, ওদের মায়ের চেহারাও বদলে যাচ্ছে'।
এই একই সাক্ষাৎকারে শরিবও তাঁর কঠিন দিনগুলিতে স্ত্রীর পাশে থাকার কথাও বলেছেন। অভিনেতা বলেন, ‘আমার স্ত্রী নাসরিন আমার পাশে ছিল। ও আমাকে বলেছিল, আমি যদি জীবনে কিছু করতে চাই তাহলে আমি ওর পাশে আছি।’ আমাদের ছেলের জন্মের পরে ও চাকরি ছেড়ে দেয়। এদিকে যখন আমাদের সমস্ত সঞ্চয় শেষ হয়ে আসছিল তখন পরিবারকে চালাতে ও আবার চাকরি নেয়য়। একদিকে চাকরি ও সংসার দুটোই টানছিল। হ্যাটস অফ টু মাই ওয়াইফ।’