আওয়ামি লিগকে না নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে, না তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকারের এহেন 'আজব অবস্থান' নিয়ে অবশ্য ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমের যুক্তি, 'আওয়ামি লিগকে আগে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তত দিন কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। এটা সরকারের স্পষ্ট অবস্থান।' প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগের ছার সংগঠন 'ছাত্র লিগ' নিষিদ্ধ হয়েছে। তবে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ নয়। এই আবহে থেকে থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আওয়ামি লিগকে নির্বাচনে লড়তে দেওয়া হবে? যদিও এই নিয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব দিচ্ছে না কেউই। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে বল সরকারের কোর্টে ঠেলে দিয়েছে। এদিকে সরকারও এতদিন ধরে এই নিয়ে টালবাহানা জারি রেখেছে। (আরও পড়ুন: আরজি কর ধর্ষণ-হত্যায় নতুন করে তদন্তের আর্জি প্রত্যাহার নির্যাতিতার মা-বাবার)
আরও পড়ুন: ইউনুসের সরকার থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন ২ উপদেষ্টা, আচমকা কী হল বাংলাদেশে?
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামি লিগ। এদিকে ১০ ফেব্রুয়ারিও ফের বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে হরতালের ডার দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই সব কর্মসূচির ঘোষণা করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: এখনও উদ্ধার হল ১৮ দেহ, ওয়শিংটনে দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানে ছিলেন কতজন?)
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই শেখ হাসিনার সরকারে থাকা বহু মন্ত্রী ধরা পড়েছেন। আবার বহু মন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে অজ্ঞাতবাসে আছেন। তাঁদেরই একজন হলেন প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। সম্প্রতি তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নাকি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আওয়ামি লিগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখন ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন। তাঁদের অনেকের খাবার কিনে খাওয়ার মতো টাকাও নেই। তবে তৃণমূল স্তরে কর্মীদের মনোবল শক্ত আছে। বিদেশে আওয়ামি লিগের পক্ষে জনমত গঠনে সাহায্য করার জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে দলের নেতারা।'