আজকাল, অপরাজিতা গাছটি বেশিরভাগ বাড়িতেই দেখা যায়। এই উদ্ভিদের ধর্মীয় এবং ঔষধি গুণ, উভয় দিক থেকেই গুরুত্ব রয়েছে। বলা হয় যে এই গাছটি লাগালে ঘরে ইতিবাচকতা বজায় থাকে। বিশ্বাস করা হয় যে অপরাজিতা গাছের ফুল ভগবান শিব এবং ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়। যার কারণে সবাই বাড়িতে অপরাজিতা গাছ লাগাতে পছন্দ করে।
অপরাজিতা গাছের যত্ন কীভাবে নেবেন
- অপরাজিতা গাছটি এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেখানে সকালের সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে। দিনে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা সূর্যালোক এই গাছের জন্য ভালো।
- এই গাছের গোড়ায় যদি সরষের খোসা মেশান, তাহলে এতে প্রচুর ফুল ফুটতে শুরু করবে। সরষের খোসা হল একটি জৈব সার যা সরষের বীজ গুঁড়ো করে তৈরি করা হয়।
- যে কোনও গাছের ভালো বৃদ্ধির জন্য, সঠিক সার দেওয়া খুবই প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে, অপরাজিতা গাছে কম পরিমাণে নাইট্রোজেন এবং ফসফরাসযুক্ত সার দেওয়া উচিত।
- এই ঋতুতে উদ্ভিদকে কীটনাশক থেকেও রক্ষা করা প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে, গাছের পাতাগুলিতে ফিটকিরি এবং নিমের জল স্প্রে করতে থাকুন।
- অপরাজিতা গাছের বৃদ্ধি এবং ফুল ফোটার জন্য আপনার ছাঁটাইও করা উচিত। গাছ থেকে খারাপ পাতা এবং ডালপালা কেটে ফেলতে হবে। এটি আপনার গাছটিকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
- কলার খোসায় ফসফরাস থাকে, যা ফুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- মাসে একবার গোবর সার প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।
- মাটি শুকিয়ে গেলেই জল দিন, এবং সকালে জল দেওয়া ভাল।
ফিটকিরি কীভাবে সাহায্য করবে
মনে রাখতে হবে, অপরাজিতা গাছ দেখতে যতটা সুন্দর, তার যত্নও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে যখন তীব্র রোদ এবং গরম বাতাস গাছগুলিকে শুষ্ক করে তোলে, তখন একটি ছোট ঘরোয়া প্রতিকার কার্যকর হতে পারে, বাথরুমে রাখা সাদা ফিটকিরি। সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে, অপরাজিতা গাছ নীল ফুলে ভরে যেতে পারে। এটি কেবল মাটিতে ব্যাকটেরিয়া কমায় না বরং গাছের শিকড়কেও শক্তিশালী করে। সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করলে, অপরাজিতা গাছটি আবার সতেজ হয়ে উঠতে পারে এবং ফুলে ভরে যেতে পারে।
অপরাজিতা গাছের ফুলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ফিটকিরির ব্যবহার একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। এক গ্লাস জলে এক চিমটি ফিটকিরি গুলে প্রতি ২০-২৫ দিন অন্তর গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন। এই দ্রবণটি গাছের মাটিতে প্রয়োজনীয় খনিজ সরবরাহ করে, যার ফলে ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।