কয়েদিদের পোশাক পরা তিন ছাত্রকে ঝোলানো হল ফাঁসির দড়িতে। একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে এমনটাই করা হল। এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশাল মাধ্যমে ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি নাটকের অংশ। নাটককে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। আর সেজন্য কিছুক্ষণের মধ্যেই পড়ুয়াদের ফাঁসির দড়ি থেকে নামানো হয়। তবে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: ১ কোটি মানুষকে আর আয়কর দিতে হবে না: অর্থমন্ত্রী
জানা যাচ্ছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের একটি অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদদের কথা স্মরণ করানোর জন্য স্কুলের তরফে একটি নাটকের আয়োজন করা হয়। সেখানে এই দৃশ্য দেখা যায়। ভিডিয়োতে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে, ৩ ছাত্র কয়েদির পোশাক পরে রয়েছে। আর কালো কাপড় দিয়ে তাদের মুখ ঢাকা রয়েছে। গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় তাদের গোটা শরীর ঝুলছে। পিছনের হাত ও বাঁধা রয়েছে। ভিডিয়ো অনুযায়ী, প্রথমে অনেকে ভেবেছিলেন সেটি আসলে নাটক। কিন্তু, ছাত্রদের একজনকে হাত পা নাড়াতে দেখে দর্শকাসনে থাকা এক ব্যক্তি ছুটে সেই ছাত্রকে দড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করেন। তখন মঞ্চে থাকা কালো পোশাক পরা এক ব্যক্তি তাকে বকাবকি করেন এবং ধাক্কা দিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। যদিও ভিডিয়োটির উৎস বা ঘটনাটি কোন স্কুলের তা এখনও জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে যে এটি প্রজাতন্ত্র দিবসের সময় হয়েছিল। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে।
তবে এরকম নাটকের জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। একজনের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান করার কোনও মানেই হয় না।’ যিনি এটি পোস্ট করেছেন তিনি বিষয়টির তদন্তের দাবি জানান। নেটিজেনদের একজন লিখেছেন, ‘ভারত নতুনদের জন্য নয়।’ অন্যজন লিখেছেন, ‘এমনটা ভারতেই সম্ভব।’ অন্য একজন অবশ্য লিখেছেন, ‘আসল দড়ি তাদের পিঠে বেঁধে রাখা হয়েছে। শুধু তার গলায় দড়ি দেওয়া হয়েছে।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘আজকাল আর সৃজনশীলতা নেই।’ এই ঘটনাটি নেটিজেনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই লিখেছেন, এটা খুবই বিপদজনক। বাচ্চাদের জীবন এভাবে ঝুঁকিতে ফেলা একেবারেই ঠিক হয়নি।