সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশপ্রেমের ভিডিয়ো পোস্ট করত। আর বাস্তবে গুপ্তচরবৃত্তি এবং পাকিস্তানি লোকজনদের কাছে ভারতের সংবেদনশীল তথ্য পাচার করত। এমনই অভিযোগে জ্যোতি মালহোত্রা নামে এক ট্রাভেল ব্লগারকে গ্ꦯরেফতার করা হল। সূত্রের খবর, আদতে হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা জ্যোতি ইতিমধ্যে স্বীকার করে নিয়েছে যে সে পাকিস্তানে হ্যান্ডলারদে🌠র কাছে সংবেদশনীল তথ্য পাচার করত। তারপর গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২ ধারা-সহ একগুচ্ছ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপাতত পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে ট্রাভেল ব্লগারকে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনে গিয়েছিল জ্যোতি
জ্যোতির গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করে হিসার পুলিশের মুখপাত্র বিকাশ কুমার জানিয়েছেন, আপাতত ট্রাভেল ব্লগারকে জেরা করা হচ্ছে। হিসার সিভিল লাইনস থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে গিয়েছিল জ্যܫোতি। সেইসময় পাক হাইকমিশনের কর্মী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। যে দানিশকে সম্প্রতি ভারত থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
পাকিস্তানেও গিয়েছিল জ্যোতি
এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, জ্যোতি জানিয়েছে যে দানিশের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছিল। পরবর্তীতে যখন পাকিস্তানে গিয়েছিল, সেইসময় আলি এহওয়ানের সঙ্গে পরিচিতি গড়ে উঠেছিল🍸 জ্যোতির। যে আলি নিজেকে পাকিস্তানি সুরক্ষা এবং গোয়েন্দা বাহিনীর অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। সেইসঙ্গে শাকির এবং রানা শাহবাজের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল জ্যোতির।
সেই শাকিরের নাম আবার নিজের ফোনে ‘জাট রানধাওয়া’ হিসেবে ‘সেভ’ করে রেখেছিল জ্যোতি, য💟াতে কারও সন্দেহ না হয়। পুলিশের এফআইআরে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে ফেরার পরেও হোয়্যাটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচাটের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির।
'পাকিস্তানের হ্যান্ডলারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জ্যোতির'
অভিযো♏গ উঠেছে যে ভারতের বিভিন্ন জায়গা নিয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছিল ব্লগার। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানকে নিয়ে এমন জিনিসপত্র পোস্ট করত, যা🌼তে ভারতের পড়শি দেশের নামে কোনওভাবে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করা যায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের এক হ্যান্ডলারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল জ্যোতি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বালিতেও গিয়েছিল ব্লগার।
তবে জ্যোতির সঙ্গে হরিয়ানা থেকে আরও যে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তির পরে হরিয়ানা থেকে জ্যোতি-সহ তিনজ൲নকে একইরকম অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনিতে ভারত 'অপারেশন সিঁদুর' চালানোর পরে পাকিস্তান পালটা হামলা চালাতে গিয়ে বেআব্রু হয়ে নয়াদিল্লির কাছে সংঘর্ষবিরতির জন্য কাকুতি-মিনতি করেছিল।