বাড়িতে ডাকাতি আটকাতে গিয়ে সইফ আলি খানের ছুরিকাঘাতে জখম হওয়ার ঘটনা এখন সংবাদের শিরোনামে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এই ধরনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল সইফের বোন সোহাও! তাঁর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
শুধু সইফের নয়, বোন সোহার বাড়িতেও এসেছিল ডাকাত!
বাড়িতে ডাকাতি আটকাতে গিয়ে সইফ আলি খানের ছুরিকাঘাতে জখম হওয়ার ঘটনা এখন সংবাদের শিরোনামে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এই ধরনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল সইফের বোন সোহাও! তাঁর সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
যদিও ঘটনাটি অতি সম্প্রতি ঘটেনি। ২০১১ সালে সোহা এই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। মুম্বইয়ের খারে সোহার অ্যাপার্টমেন্টে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। সেদিন ছিল কুণাল খেমু এবং সোহার ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়। সেখানে তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন। তারপর সেখানে কাজ মিটিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন দু'জন। এর পর দম্পতি ডিনার করতে বসেন। কিন্তু সেই সময় হঠাৎ করে তাঁদের ব্যালকনি থেকে নানা রকমের শব্দ আসতে থাকে। কোথা থেকে সেই শব্দ আসছে তা দেখার জন্য কুনাল ব্যালকনির দিকে যান। আর সেখানে গিয়েই দেখে পান এক ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছে। কুণালকে দেখতে পেয়ে অনুপ্রবেশকারী এক তলার বারান্দায় পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু তাড়াতাড়ির মধ্যে পায়ে টাল সামলাতে না পেড়ে, পড়ে যায়।
কুণাল দ্রুত নীচে ছুটে আসে, ওই অনুপ্রবেশকারী পালানোর আগেই তাকে ধরে ফেলে। তারপর তদন্ত শুরু হলে জানা যায় যে, ওই ব্যক্তির একটি দীর্ঘ অপরাধমূলক ইতিহাস রয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতি করেছে সে।
প্রসঙ্গত, ডাকাতদের আটকাতে গিয়ে সইফ আহত হন। যখন ডাকাত আসে তখন সইফ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে বিষয়টা টের পেয়ে নায়ক ডাকাতকে বাধা দিতে গেলে, তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির জড়িয়ে পড়েন। সেই সময়ই সইফকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এর ফলে গুরুতর জখম হন অভিনেতা। তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।