বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আরও ধাক্কা খেতে চলেছে তুরস্ক। অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানকে সমর্থন করাই ইতিমধ্যে তুরস্কে ভ্রমণ বাতিল🌺 করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা। এবার তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ভাশির পাইকারি কৃষি উৎপাদন বাজার কমিটির (এপিএমসি) ব্যবসায়ীরা। এই বাজারে প্রচুর পরিমাণে আপেল আসে তুরস্ক থেকে। আমদানি শুরু হয় জানুয়ারি এবং বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলেছে। এর ফলে তুরস্ক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে বলে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
আরও পড়ুন: 'জঙ্গি দে🦋শ' পাকিস্তানকে সহায়তার মা𝔍শুল, ২ দেশের অর্থনীতিকে ধসানোর পথে ভারতীয়রা
ফলের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, গত বছর ভারত তুরস্ক থেকে ১১.৭৬ লক্ষ টন আপেল আমদানি করেছিল। যার মূল্য ১,০০০ কোটি টাকারও বেশি। নেট মার্কেটিং মার্জিন (এমএমআর) বিশাল হওয়ায় প্রতি বছর বাজারে তুরস্ক আপেল বিক্রি করা হয়। কারণ মিষ্টির কারণে এই আপেলগুলি খুবই জনপ্রিয়।♛ তবে, ভারতের উপর সাম্প্রতিক আক্রমণ পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে।
এ বিষয়ে সেখানকার ব্যবসায়ী বিজয় ভেন্ডে বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশের সঙ্গে ব্যবসা করব না যারা ভারত বিরোধী। তাই ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই দেশ থেকে নতুন করে আপেল আমাদানি করার জন্য অর্ডার দেওয়া হবে না। এর ফলে তুরস্কের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাꦯব পড়বে এবং তাদের শিক্ষা দেবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ। সিদ্ধান্ত হয়েছে তুরস্কের পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়াশিংটন থেকে আরও আপেল আমদানি করা হবে।
তবে ইতিমধ্যেই কিছু ব্যবসায়ী তুরস্ক থেকে আপেল আমদানির জন্য অর্ডার দিয়ে ফেলেছেন। ফলে সেগুলি আমদানি করতে হবে। তবে নতুন করে আর কোনও অর্ডার দেওয়া হবে না। একজন ব্যবসায়ী জানান, এই সিদ্ধান্তের কারণ হল খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকে তুরস্কের আপেল কিনতে অনীহা দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সেই কারণে অনেকে দক্ষিণ আফ্রিকার আপেল বলে চালিয়ে বিক্রি করছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ক্রেতারা তা ধরে ফেলছেন। তাই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের বাজারেও একইভাবে তুরস্কের আপেল কিনতে অনীহা দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ সেই কারণে এখানকার পা൲ইকারি ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছেন।