উত্তর দিনাজপুরের গাইসালে ২ আগস্ট ১৯৯৯ সালে হয়েছিল মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা। সে দিন ভুল সিগন্যালের কারণে এক লাইনে চলে আসে অবধ অসম এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র মেল। মুহূর্তে মধ্যে ঘটে যায় দেশের অন্যতম বৃহৎ রেল দুর্ঘটনা। সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩০০। বেসরকারি মꦺতে আরও বেশি। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় সেদিকে ছুঁতে চলেছে। ২৪ বছর পর প্রায় একই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি। মাসের এদিক-ওদিক হলেও তারিখ ২। সেদিনের স্মৃতির কথা ভাবলেই এখন বুক কেঁপে ওঠে অম্বিকা, তারামণিদের।
গাইসালের স্টেশন লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা অম্বিকা বলেন,' রাত দুটোর সময় বিকট শব্🅠দ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম বোমা ফেটেছে। স্টেশনে এসে দেখি সে কি দৃশ্য। একটার উপর একটা কামরা উঠে পড়ছে। এ দিন ও দিন পড়ে র🎐য়েছে মানুষের লাশ। জিনিসপত্র। সে দিনের কথা ভাবলে এখনও বুকের ভেতরটা কেমন করে।'
( পড়ুন: গ্রাউন্ড জিরোতে HT, করমণ্ডলে মোবা🐼ইলের আলোতে শুরু করেছিলেন উদ্ধারকাজ, জানুন সেই হিরোদের কথা)
এলাকার বাসিন্দা তারামণি জানান, ঘটনা ২৪ বছর আগের হলেও এখনও𝔍 তাঁর সব মনে আছে। সকালে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্টেশনের দিকে আসেন। এসে দেখেন চারিদিকে পড়ে রয়েছে মানুষের লাশ, জিনিশপত্র। সেই স্মৃতি আজও তাঁর কাছে আতঙ্ক। ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ট্রেনে চড়তে গেলে বুকটা ছ্যাঁৎ করে ওঠে মনে পড়ে যায় পুরনো স্মৃতি। তারামণি বলেন,'আগে এই গা𒁏ইসাল স্টেশন দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করত। কিন্তু ওই যারা দুর্ঘটনা দেখেছেন তাঁদের মনে এমন আতঙ্ক তৈরি হয় যে যাত্রী আসা কমে যায়। ২৪ বছর পার হয়ে গেলেও সেই আতঙ্ক আজও রয়েছে। যাঁরা দেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যেও।'
(পড়ুন। পেটের টানে দক্ষিণ ভারতে, করমণ্ডল কাড়ল পরিযꩵায়ী🎉 শ্রমিকদের প্রাণ, হাহাকার বাংলাতে )