এলাকায় সুদখোর হিসেবেই পরিচিত। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের হরিপুর ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সেই বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলকে কিডনি পাচার চক্রে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পরেই তাঁর সম্পর্কে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। অভিযোগ উঠেছে, সাধারণ মানুষ🤪কে ঋণের জালে জড়িয়ে একপ্রকার কিডনি বিক্রিতে বাধ্য করতেন বিকাশ। আর সেই কিডনি বিক্রি করে মোটা টা𒊎কা হাতিয়ে নিতেন তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের জেলায় সক্রিয় ꧙কিডনি পাচার চক্র, গৃহবধূর ♍অভিযোগে উত্তর দিনাজপুর তোলপাড়
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড পর্বের সময় থেকে ফুলে ফেঁপে উঠেছনে বিকাশ। তিনি সুদের কারবার শুরু করেন। তারপরে বদলে যায় তাঁর জীবনযাত্রা। তিনি গলায় প্রায় ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চেইন পড়ে থাকতেন। এছাড়াও, রয়েছে মার্বেল বসানো পেল্লায় দোতলা বাড়ি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সাধারণ মানুষকে ঋণের জালে জড়িয়ে দিন দিন শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছিল বিকাশের। কিডনি বিক্রি করে মোটা টাকার কমিশন পেতেন বিকাশ। তিনি এলাকায় ‘সুদখোর শীতল’ নামেই পরিচিত। তাঁর সুদের কোনও হিসাব ছিল না। স্থানীয়দের অনেকের দাবি, সকালে কেউ ২০ হাজার টাকা তাঁর কাছে সুদ নিলে রাত 💟হলেই ৫০ হাজার টাকা মেটাতে হতো।
সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা থেকে কিডনি পাচার চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতারের পরেই শীতলের নাম জানতে পারে পুলিশ। এর পরে তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত গরিব অসহায় মানুষদেরই বেশি টার্গেট করতেন শীতল। তাঁদের ꦡচড়া হারে সুদ দিতেন। সেই টাকা মেটাতে না পারলেই প্রথমে হুমকি, আর তারপরেই কিডনি বি♈ক্রিতে বাধ্য করতেন। শুধু তাই নয়, কিডনি বিক্রি জন্য কলকাতার বেশ কিছু হাসপাতালে সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকায় কিডনি বিক্রি করতেন। তার মধ্যে মাত্র ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতেন। আর নিজে মোটা টাকা কমিশন নিতেন।
জানা গিয়েছে, শীতলের একটি চোখ নষ্ট। তাঁর পারিবারিক দুধের ব্যবসা রয়েছে। কোভি𒉰ড পর্বের আগে তিনি দুধ দোয়াতে গিয়ে গরুর লাথি খেয়ে একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে সুদের কারবারে নামেন শীতল। এখন পুলিশ জানার চেষ্টা করছে কীভাবে শীতল কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও কারা কারা রয়েছেন? কোন কোন হাসপাতালের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল? তা জানার চেষ্টা করছে পুল🧸িশ।