তারিখটা ছিল ২৯ নভেম্বর। সেদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বলেছিলেন, ‘আসুন না, একসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সব গরিব মানুষের বাড়ি করে দিই।’ যে আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। আর যা ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা দেবে রাজ্য সরকার। সেই সমীক্ষার কাজ শেষ। আর আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে নয়াদিল্লিতে গিয়ে দরবার করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের প্রস্তাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সমর্থন করলেন তিনি–সহ বিজেপি বিধায়করা।
রাজ্যের সমস্ত প্রস্তাবে বিধানসভার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেন বিরোধী দলনেতা। এই রাজ্যের নানা ইস্যুকে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। আবার বিক্ষোভ বয়কটের রাস্তাতেও হাঁটেন। তবে আজ, বৃহস্পতিবার দেখা গেল অন্যরকম ছবি। এই বিধানসভাতেই শাসক–বিরোধী এক সুর। রাজ্য সরকারের প্রস্তাব কলকাতা–ইউরোপ সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে কেন্দ্র যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। অনুমতি যেন মেলে। রাজ্যের ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিমানবন্দর সম্প্রসারণে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যদি বাধা আসে তাহলে পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিলেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: হঠাৎ হাসপাতালে ভর্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা, মায়ের শ্রাদ্ধ মিটতেই কী ঘটল?
এই প্রস্তাবকে সমর্থন করতেই বিরোধী দলনেতারও প্রশংসা করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই পারস্পরিক সৌজন্যের নজির লক্ষ্মীবারে ধরা পড়ল বিধানসভায়। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আপনারা বিধানসভার সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠান। আমরা বিরোধীরাও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করব।’ তখন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, ‘আপনি আজ যেভাবে আমায় কয়েকবার মাননীয়া বললেন। সম্মানীয় বললেন। আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভাল লাগল। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে এই প্রস্তাবকে সমর্থন দেওয়ার জন্য।’