সেসময় বয়কট বলিউডের ট্রেন্ড চলছিল, বিষয়টা বড়ই অদ্ভুত! কিছু লোকজন হিন্দি ছবির বিরোধিতায় উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তারপরই সেই দিনটা এল, ২৫ জানুয়ারি। সকাল ৭টায় ঘুম থেকে ওঠার কথা আমার বেশ মনে আছে। ছবির বিষয়ে বিশদ পোস্ট করার পর ঘুমতে যখন গিয়েছিলাম, তখন বাজে ভোর সাড়ে ৩টে। যখন ঘুম ভাঙল, তখনও একপ্রকার অচেতন।'
সিদ্ধার্থ আনন্দ
সিদ্ধার্থ আনন্দ, বলিউডের এই পরিচালকের সঙ্গে সিনেমাপ্রেমীদের অন্তত নতুন করে আলাপ করানোর কিছু নেই। ২০২৩-এ ‘পাঠান’ ব্লকবাস্টার হওয়ার পর এই নাম এখন বি-টাউনে পরিচালক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। ২০২৩ তাই সিদ্ধার্থের হৃদয়ের খুব কাছের একটা বছর। ২০২৩-এর চৌকাঠ পার করে ২০২৪-এ পা রাখার আগে ৩১ ডিসেম্বর আরও একবার পিছন ফিরে তাকালেন সিদ্ধার্থ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্তি স্বীকার করে ২০২৩কে খোলা চিঠি লিখেছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ।
ঠিক কী লিখেছেন 'পাঠান' পরিচালক?
সিদ্ধার্থ লিখেছেন, ‘নতুন বছর ঘনিয়ে আসার সঙ্গে আমি কিছু সময় পিছনে ফিরে তাকাই। ২০২৩ সালটা আমার জীবনে অনেককিছু বদলে দিয়েছে। যদিও শুরুটা হয়েছিল অনেকটা ভয় আর উদ্বেগের সঙ্গে…। আমার ছবি ‘পাঠান’ যখন মুক্তি পাচ্ছে, তখন বৃহৎ সাগরের সমস্ত শক্তি এর বিরুদ্ধে ছিল। সেসময় বয়কট বলিউডের ট্রেন্ড চলছিল, বিষয়টা বড়ই অদ্ভুত! কিছু লোকজন হিন্দি ছবির বিরোধিতায় উঠে পড়ে লেগেছিলেন। আর তারপরই সেই দিনটা এল, ২৫ জানুয়ারি। সেদিন সকাল ৭টায় ঘুম থেকে ওঠার কথা আমার বেশ মনে আছে। ছবির বিষয়ে বিশদ পোস্ট করার পর ঘুমতে যখন গিয়েছিলাম, তখন বাজে ভোর সাড়ে ৩টে। যখন ঘুম ভাঙল, তখনও একপ্রকার অচেতন। প্রথম শো সবে শুরু হয়েছে। মমতা (স্ত্রী) এবং আমি আমাদের বন্ধু জয়ুর বাড়িতে যাওয়ার আগে লোকজন ছবিটা নিয়ে কী বলছেন, তার অপেক্ষায় ছিলাম। বাড়ির বারান্দার বসে আছি, তখন এক এক করে লোকজনের মতামত আসতে শুরু করল। সকলেই এটাকে ব্লকবাস্টার ঘোষণা করে।’
সিদ্ধার্থ থামেননি, তিনি আরও লিখেছেন, ‘এরপর আমি আর বসে থাকতে পারিনি। ঠিক করলাম বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে যাব, লোকজনের প্রতিক্রিয়া সামনে থেকে দেখব। যদিও হল ভিজিটে গিয়েও প্রথমবার দর্শকদের সঙ্গে বসে পুরো ছবিটা দেখে উঠতে পারিনি। প্রথম ৩০ মিনিট ছবিটা দেখার পর আমি দর্শকদের হৃদস্পন্দন ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। এটা অন্যরকম কিছু ছিল।তারপর বিভিন্ন ভিডিয়ো আসতে শুরু করে। ঝুমে জো পাঠান গানে লোকজন নাচতে শুরু করে। ইতিহাস সৃষ্টি হয়। পাঠান ২০২৩-এ সর্বকালের সেরা ব্লকবাস্টার হয়ে ওঠে।'