মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁ এবার পালন করল রবীন্দ্রজয়ন্তী। ইংরেজি মতে রবীন্﷽দ্রনাথের জন্মতারিখ ৭ মে। বাংলা মতে ২৫ বৈশাখ। গত ৭ মে ইংরেজি মতেই ওই রেস্তরাঁতে র𓄧বীন্দ্রজয়ন্তী পালন করলেন সেলেব্রিটি শেফ বিকাশ খান্না। বিশ্বকবিকে এই দিন শ্রদ্ধা জানাতে রেস্তরাঁতে অভিনব আয়োজন করেন তিনি। তাঁর একটি ভিডিয়ো এই দিন তিনি শেয়ার করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে।
‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য’
তাঁর বাংলো রেস্তরাঁতে এই দিন প্রতিটি টেবিলে ছিল রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য’ কবিতা লেখা কার্ড। রেস্তরাঁতে ব্যবহার করা হয়েছিল বিশেষ সুগন্ধি। গোলাপের ওই বিশেষ সুগন্ধি শান্তিনিকেতনের কথা মনে করিয়ে দেবে যে কাউকে, এমনটাই বলেন বিকাশ। পাশাপাশি এই দিন বাংলো রেস্তরাঁর মেঝেতে একটি বিশেষ রঙ্গোলি আঁকা হয়। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল রঙ্গোলি। রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতিপ্রেম বোঝাত💦ে ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি।
আরও পড়ুন - ‘মাথার উপর আছেন, ঠাকুরের মতোই’, HT বাংলায় রবি-স্মরণে সাহিত্যিক বিনো♛দ ঘোষাল
তৈরি হল স্পেশাল সন্দেশ
তবে শুধু রেঁস্তরার সজ্জারꦑ দিকেই মন দেননি বিকাশ। রেস্তরাঁ মানেই খাবার। আর এই দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ খাবারে♏র আয়োজনও করা হয়। তৈরি করা হয় স্পেশাল নলেন গুড়ের সন্দেশ। বিকাশ তাঁর ইনস্টা পোস্টে লিখেছেন, এই সন্দেশ তৈরি করা হয়েছে নলেন গুড় ও গোলাপের এসেন্স দিয়ে।
আরও পড়ুন - করাচি বেকারি সত্যিই পাকিস্তানের? হ🌳তভাগ্য এই হিন্দুꦯর কাহিনি জল আনবে চোখে
দেখুন ভিডিয়ো
নোবেল পুরস্কারকে স্মরণ
রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপনে কোনও খামতি রাখতে চাননি বিকাশ। তাই রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ গীতাঞ্জলিও এই দিন ছিল বাংলোর লাইব্রেরিতে। বিকাশ তাঁর পোস্টে লেখেন, এই গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ𒁃ের জন্যই প্রথম নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ। সেই প্রথম ইউরোপীয় নন এমন এক ব্যক্তি নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হলেন।
প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা
বিকাশের ভিডিয়োটি দেখে রীতিমতো প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। রবীন্দ্রনাথের প্রতি এভাবে শ্রদ্ধা জানানোর রীতি অনেক🌼কেই মুগ্ধ করেꩲছে। একজন নেটিজেন লেখেন, আপনাকে এই উদ্যোগ দেখে ভীষণ খুশি হলাম। একজন বাঙালি হিসেবে বলতে পারি, রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে আবেগের থেকেও অনেক বেশি কিছু।